শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫৪ দুপুর
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জামালপুরে বন্যার পানি বিপসীমার ৯৩ সে. মি. ওপরে, পানিবন্দী দুই লক্ষাধিক মানুষ 

খাদেমুল বাবুল, জামালপুর: [২] জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে অবিরাম ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুই  উপজেলার সহস্রাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দুই লক্ষাধিক মানুষ। 

[৩] দেওয়ানগঞ্জের একটি আশ্রায়ন প্রকল্প নদীতে বিলীন হওয়ায় শতাধিক পরিবার দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া  শতাধিক পরিবার গরু-বাছুর এবং গবাদি নিয়ে রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন। পৌর শহরের বন্যার পানি প্রবেশ করায় অফিস আদালতের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। 

[৪] এছাছা ইসলামপুর উপজেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

[৫] ফলে ইসলামপুর উপজেলার যমুনার তীরর্বতী কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পার্থশীসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের পাচঁ শতাধিক গ্রাম, হাটবাজার প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর পাঠদান বন্ধ হয় গেছে। 

[৬] জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) সকল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্যার পানির এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলেন জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ইতোমধ্যে মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং পানির প্রচন্ড স্রোতে ইসলামপুর-মাহমুদপুর সড়কের ব্রিজে অ্যাপ্রচ ধসে গেছে। এছাড়া ধর্মকুড়া-উলিয়া সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়ক  এবং দেওয়ানগঞ্জ-ডাংধরা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে । ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্পবাস্তবান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ত্রাণ হিসেবে ১২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৫০ টন বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। 

[৭] দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবান কর্মকর্তা মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ৪১৫ টি পরিবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ হিসেবে ৩০ মেট্রিক টন চাল ও ২৭৫ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

[৮] জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো: শফিকুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রয়োজিয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত উপজেলা গুলোতে চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়