শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৪২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিরাজগঞ্জে বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যমুনার পাড়ের মানুষজন

সোহাগ হাসান, সিরাজগঞ্জ: [২] পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। দ্রুতগতীতে পানি বাড়ায় বন্যা আশঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। গত ১২ ঘন্টায় শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা ১২.৯০)

[৩] এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার অভ্যান্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসাগর ও চলনবিলের নদ নদীর পানি সমানতালে বেড়েই চলেছে। দ্রুত পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে যমুনার তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।

[৪] অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত ১২ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেরে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা ১৪.৮০)।

[৪] শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

[৫] পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে যমুনায় পানি বাড়ে। এক সপ্তাহ পরই পানি কমতে থাকে।  এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুতগতীতে পানি বাড়তে থাকে। টানা পাঁচদিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বেড়েছে। ২৯ জুন আবার স্থিতিশীল হয়ে ৩০ জন সামান্য কিছুটা কমে যমুনার পানি। ১ জুলাই থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে।

[৬] যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী ও শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর এবং কৈজুরীতে তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব অঞ্চলের প্রায় ৮ শতাধিক বাড়ি-ঘর, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

[৭] সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, দ্রুতগতিতে যমুনায় পানি বাড়ছে। বর্তমানে শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্ট ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি আরও ৪/৫ দিন বাড়তে পারে।

[৮] তিনি আরও জানান, পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়