কায়সার হামিদ, উখিয়া: [২] টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপসহকারী পরিচালক তোফায়েল আহমদ গত ৫১ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৩] তিনি জানিয়েছেন, ২ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ মিলিমিটার, ৩ জুলাই সকাল থেকে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় আরও ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তিনি জানান, আরও ২/৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে পরিমাণ কমবে।
[৪] এদিকে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে উখিয়ার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হলো জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া, পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া, ডেইলপাড়া, মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি, নলবুনিয়া, খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা, পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে।
[৫] জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া, নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।পাশাপাশি গৃহ পালিত পশু পাখি মারা গেছে।
[৬] হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বড়বিল মনি মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেতসহ আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে ভেসে গেছে।
[৭] স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ঢুকে লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
[৮] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, বুধবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেন তিনি।
[৯] তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত মানুষগুলোকে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য মাইকিংসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :