মোশতাক আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ: [২] সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানিতে চাকরি করেন শামীম আহমেদ। প্রতিদিনের মতো রাতের ডিউটি শেষে সকাল সাড়ে ৬টায় বাসায় ফিরে একাধিকবার দরজা খুলতে নক করলেও কোনা সাড়া শব্দ পাননি। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন সামিয়া আক্তার সোহা নামে তার ১৫ মাস বয়সী কন্যা শিশু মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছে। আর স্ত্রী ঊর্মি আক্তার মুক্তা রক্তাক্ত অবস্থায় টয়লেটের ভেতর পড়ে আছে।
[৩] খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মা ঊর্মি আক্তার মুক্তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
[৪] বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার মহসিন বেপারীর চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনাটি ঘটে।
[৫] নিহত শিশুর পিতা শামীম আহমেদে রাজবাড়ি জেলার বাড়িগ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর শামীম আহমেদ অনকেটাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
[৬] বাড়ির মালিক মহসিন বেপারী বলেন, এ বাড়ি নতুন তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত নতুন বাড়িতে স্থানান্তর হইনি। কয়েকটি রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। গত ৩ দিন আগে মেঘনা গ্রুপের চাকরি করেন শামীম আহম্মেদ বাসা ভাড়া নেন। ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। শিশুর মৃত্যু আর মায়ের আহতের কথা শুনে এখানে এসেছি।
[৭] ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন। ও তদন্ত শেষে এ ঘটনার সঠিক তথ্য জানা যাবে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :