শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫২ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: [২] সুরমা কুশিয়ারার পানি কোথাও এক সেন্টিমিন্টার কমলেও অন্য পয়েন্টে বাড়ছে। এদিকে  সিলেটে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা কুশিয়ারার সব পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের উপজেলাগুলো থেকে পানি নামতে থাকায় ভাটির উপজেলাগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

[৩] মূলত নদী ও হাওরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। অন্যদিকে সিলেটে গতকাল বুধবার পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

[৪] এদিকে নগরের ভেতরে বিভিন্ন এলাকা আজ সকাল পর্যন্ত জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করছেন। অনেকেই আবার ঠাঁই নিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে।

[৫] গত ২৯ মে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। এরপর বন্যার দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ১৬ জুন। সেদিন আবার পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে। পরে নগর এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় বন্যা দেখা যায়। গত ১৯ জুন অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ওইসব উপজেলায় বন্যা বিস্তৃত হয়। 

[৬] এর মধ্যে ১৭ জুন থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় ফের বন্যা দেখা দেয়। পরে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় তা বিস্তৃত হয়। এরপর ২৫ জুন থেকে  সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হতে শুরু করার মধ্যেই সোমবার (১ জুলাই) থেকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি আবারও গুরুতর আকার ধারণ করেছে।

[৭] বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকা পরিবর্তিত হলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বরং আগে থেকে পানি নিমজ্জিত এলাকাগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

[৮] সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ নেই কেবল সিলেট সদর, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানি নামছে। ওসমানী নগর, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সদর, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাড়া বাকি সব উপজেলায় বুধবার রাত পর্যন্ত ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৮ হাজার ৮৯৫১ জন মানুষ।

[৯] সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি পরিচালক শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ১৮.৪ মিলিমিটার। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

[১০] সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের উপজেলাগুলো থেকে ঢলের পানি নামতে থাকায় ভাটির উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি আবার কোথাও অবনতি হচ্ছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়