ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা গ্রামের লুৎফর মুন্সীর ছেলে।
[৩] শনিবার (২৯ জুন) রাতে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরুপ কুমার বিশ্বাস তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ সালমান মুন্সির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৫] পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সালমান মুন্সীর সাথে পাশ্ববর্তী মালিগ্রামে সায়মা খাতুনের সাথে প্রথম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুই বছর তাদের প্রেমের সম্পর্কের পর সায়মা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তা ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কের ফলে সায়মা খাতুন গর্ভবতী হয়ে পড়লে সে বিয়ের জন্য সালমান মুন্সিকে চাপ প্রয়োগ করে। পরে সায়মাকে কৌশলে ঢাকা শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে জোর করে গর্ভপাত ঘটায়। পরে সায়মার ছবি ব্যবহার করে কিছু অশ্লীল ভিডিও তৈরী করে বিভিন্ন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ছড়িয়ে দেয়।
[৬] এছাড়া রাজধানী টেলিভিশন নামের ইউটিউব চ্যানেলে তৃতীয় চোখ নামে অনুষ্ঠানে "সায়মা-ফায়জুরের অন্ধকার জগত" শিরোনামে একটি অশ্লিল ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৭] পরে কোন উপায়ান্তর না দেখে সায়মা খাতুন ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ সালমান মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে ।
[৮] এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরুপ কুমার বিশ্বাস জানান, পর্নোগ্রাফি বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সালমান মুন্সীকে তার বাড়ি ভাঙ বামনকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নিকট থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :