এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: [২] গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত টিম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
[৩] তিন সদস্যের তদন্ত টিমে নেতৃত্ব দেন কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মাহমুদা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির অন্য দুই সদস্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ও সহকারি পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান।
[৪] এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, গত রবিবার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকে পড়ে নিহত হওয়ার খবর মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠণ করা হয়।
[৫] তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, লিফটের অপারেটর, ওয়ার্ডবয়, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্তে লিফটি বন্ধের কারণ, তা কতক্ষণ বন্ধ ছিল, লিফটে আটকা পড়া লোকজন কিভাবে উদ্ধার হলো, রোগী মৃত্যুর ঘটনায় কারো কোন অবহেলা ছিল কি-না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৬] তদন্ত টিমের সদস্য উপ-পরিচালক মো: খায়রুজ্জামান বলেন, রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলা হবে। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা ফোন করে নিয়ে এসে কথা বলা হবে। সহকারি পরিচালক মো: মাসুদ রেজা খান বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে ৩ নম্বর লিফটি থেমে যায়। লিফটের ভেতর নিহত রোগীসহ তার স্বজন ও অন্যান্যরা ১০ মিনিটের মতো আটকে ছিল। ১০ মিনিট পরে তাদের উদ্ধার করে আনা হয়। আর রোগীর স্বজনরা ৪০ মিনিট ভেতরে আটকে থাকার কথাও আমরা খতিয়ে দেখছি।
[৭] তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওই লিফটের ভেতরে কোন লিফটম্যান বা কোন অপারেটর ছিল না। আমরা নিহতের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছি। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে বলেন হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :