স্বপন দেব: [২] করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় প্রকৃতির অপরুপ লীলাভুমি ও চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার জেলা পর্যটন স্পটগুলো অনেকটা নিষ্প্রাণ ছিলো। এবারের ঈদের দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকদের ভীড় প্রত্যাশা করছেন এই শিল্পে জড়িত লোকজন। তাই ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের প্রায় ৫০টি স্পট ভ্রমণ পিপাসী পর্যটকদের স্বাগত জানাতে এখন প্রস্তুত। নেয়া হয়েছে তাদের বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
[৩] জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, কুলাউড়ার কালা পাহাড়, গগন টিলা, বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় স্থান। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে সীমান্তের পাথারিয়া পাহাড় থেকে নেমে এসেছে জলরাশি। এখানে ঝর্ণাধারা যেকোন ভ্রমন পিয়াসীদের আকৃষ্ট করবে। পাশেই আছে চা বাগানের মনোরম দৃশ্য।
[৪] আরেক দর্শনীয় স্পট কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে ‘হাম হাম জলপ্রপাত’। এ স্পট অনেকটা দূর্গম। তাই বয়স্ক এবং ছোট শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য এই স্পটে যাওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। বড়লেখার কাননগো বাজার কিংবা কুলাউড়ার পালের মোরা স্থান থেকে সহজে হাকালুকি হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া হাকালুকি হাওরের এখন পানি থাকায় ডিঙি ও ইঞ্জিনের নৌকা নিয়ে হাওর এলাকা ঘুরে দেখা যাবে।
[৫] কমলগঞ্জের শমসেরনগরের পাশে বিমান ঘাঁটির রানওয়ে রয়েছে। যা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দেখা যাবে। তার পাশেই রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু পেয়ারা আনারস ও লেবুর বিশাল বিশাল বাগান।
[৬] এছাড়া কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় রয়েছে আদিবাসী পল্লী। এখানের মনিপুরি, খাসিয়া গারো জনগোষ্টী এবং তাদের আলাদা কৃষ্টি, সংস্কৃতি অনেক আনন্দদায়ক। কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণ বাজারে সিআরপি গেস্ট হাউস। পাশে রয়েছে সিরাজ নগর চা বাগানে।
[৭] শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের বধ্যভূমি, বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ। এখানে থাকা খাওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফসহ অনেক ভালো মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। মৌলভীবাজারে ঈদকে সামনে রেখে জেলায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
[৮] জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ঘুরাফেরায় জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে সমন্বয় করে সাতটি থানা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সড়কে যানজট মোকাবেলায় শ্রীমঙ্গল থেকে বড়লেখা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। যেকোন পর্যটক প্রয়োজনে পাশ^বর্তী থানা বা ৯৯৯ কল করে সহায়তা নিতে পারেন। সম্পাদনা : সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :