হারুন-অর-রশীদ : [২]জেলার সালথা উপজেলায় চার মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় রুখে দাঁড়ায় এলাকার ১৫-২০ জন নারী। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যকে। পরে নারীর দলটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন ওই আসামিকে।
[৩] জানা যায়, রবিবার (১ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া ছয়আনি এলাকায় পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি তারা মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করেন সালথা থানার এসআই খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. নাজমুল ও এএসআই মো. লিয়াকত হোসেন।
[৪] তাদের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় রুখে দাঁড়ায় ওখানকার কয়েকজন নারী। ১৫ থেকে ২০ জন নারী চড়াও হয়ে ওই দুই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ওই আসামিকে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি তারা মিয়া খারদিয়ার ছয়আনি পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে।
[৫] ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল ও লিয়াকত আসামি তারা মিয়াকে ধরে ফেরেছিলো। কিন্তু ওই সময় নারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝাঁপটে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে পালিয়ে যান তারা মিয়া।
[৬] তিনি বলেন, পুলিশের এ অভিযানে কোন নারী পুলিশ না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।
[৭] খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
[৮] গত ২১ এপ্রিলের খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।
[৯] তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। তিনিও পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি। এছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। চার মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য। সম্পাদনা : সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :