বাবুল খাঁন : [২] পার্বত্য এই জেলায় পর্যটন শিল্প অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে। ঈদের ছুটিতে, ঈদ আনন্দ আর মে দিবস উপলক্ষে, বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আগমনে মুখরিত হবে। করোনার দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে আবারও পাহাড়ের পর্যটন চাঙা হবে- এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের হোটেল-মোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিমধ্যে ৫৫-৬০% কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে।
[৩] হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালীর জেনারেল ম্যানেজার সুমন জানিয়েছেন, পর্যটকদের ভ্রমণকে কেন্দ্র করে, রমজান মাস জুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি রুমগুলো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকের চাপ রয়েছে। এরই মধ্যে ৫-৬ তারিখ পর্যন্ত হোটেলের ৮০% কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে।
[৪] পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে যানবাহন বিশেষ করে ভাড়া গাড়ির ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররাও প্রস্তুত। ফোরহুইলার গাড়ির মালিক ও চালকেরা জানিয়েছেন, জেলা ও উপজেলার তিন শতাধিক পর্যটক গাইড, দুই শতাধিক চাঁদের গাড়ির (ফোরহুইল গাড়ি) চালক অপেক্ষায় রয়েছে। তাপদহ আর রোজার কারণে এই পার্বত্য জনপদ পর্যটকের আনাগোনা একেবারে নেই বললেই চলে। এবারে ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় থাকবে এমনটাই আশা করছেন।
[৫] পর্যটন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল দাশ বলেন, করোনার কারণে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারেনি। ৫ দিনের সরকারী ছুটি থাকার কারণে, আশা করছি প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে। ৭০টি হোটেল মোটেল রিসোর্ট আছে। যার ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ হাজারের অধিক। এরই মধ্যে হোটেলগুলোতে ৬০-৭০% অধিক অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
[৬] জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আকতার বলেন, পর্যটক নগরী এই পার্বত্য জেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকের সমাগম হবে।পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।প্রত্যেকটা পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিস্টদের যে কোন প্রয়োজনে আমরা তাৎক্ষনিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সম্পাদনা : সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :