শিরোনাম
◈ জুমার দিনে যে পাঁচ ভুল কোনোভাবেই কাম্য নয় ◈ ৩ সংবাদমাধ্যমসহ জেমকন গ্রুপের ৩৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার জব্দ ◈ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, কোন তারিখে ট্রেনের কোন টিকিট এর বিষয়ে যা জানাগেল ◈ ইরানকে আঘাত করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে, আমেরিকা বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে: ইমাম খামেনেয়ী ◈ আমি জানি না, ওরা কেনো মাঠ থেকে অবসর নিলো না : খালেদ মাহমুদ সুজন ◈ হান্ড্রেড বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটারের কেউই দল পেলেন না ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ◈ গালি দেওয়া সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে বললেন হাসনাত ◈ বাংলাদেশে থাকতে চাই না, আমাদের বার্মা ফেরত পাঠাও, খাদ্য সহায়তা কমানোয় দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা ◈ সৌদি আরবের হঠাৎ সিদ্ধান্তে হাজারো ওমরাহযাত্রী  বিপাকে

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২৪, ০৭:০৮ বিকাল
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২৪, ০৭:০৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এপ্রিলে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে কালুরঘাট সেতু

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত কালুরঘাট সেতুর কাজ এপ্রিল মাসের মধ্যেই সংস্কারকাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

[৩] ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর দোহাজারী–কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ থাকায় ফেরী দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও জনসাধারণ। সেতু কাজ ৮৫% জনসাধারণ চলাচলে ওয়াক ওয়েরও রেলিংরে কাজ ৮০% সম্পন্ন হয়েছে সেতুটি যানবাহন এবং জনসাধারণের জন্য এপ্রিল মাসে শেষদিকে খুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রতিদিন দুইটি ট্রেন কক্সবাজার চলাচল করছে।

[৪] রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শ অনুযায়ী সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। সেতুটি সংস্কারের পর ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এপ্রিল মাসের শেষেরদিকে জনসাধারণ চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে যাবে। ওয়াকওয়ের কাজও ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। 

[৫] বিকল্প হিসেবে ফেরি দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সেতুর সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ হলে সেতুর উপর দিয়ে আগের মতো নিয়মিত চলাচল করবে যানবাহন। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মাণ করে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই ৬৩৮ মিটার সেতুটি এর আগে দুই বার সংস্কার করা হয়েছিল। ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন।

[৬] রেলওয়ে সৃত্রে জানা যায়, কক্সবাজার রেলপথে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুত গতির ভারী ইঞ্জিনের ট্রেন চলাচল করবে। সংস্কার ছাড়া কালুরঘাট সেতু দিয়ে এ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শ চাওয়া হলে তারা সেতুর বেশ কয়েকটি বড় ধরনের ত্রুটি চিহ্নিত করেন। প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে। সেতুটির সংস্কারকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল বিশেষজ্ঞ। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়