শিরোনাম
◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই ◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২২, ০৬:৩৭ বিকাল
আপডেট : ২৯ মে, ২০২২, ০৬:৫৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন রুট খুজছে মালিকরা

পদ্মা সেতু চালু হলে প্রয়োজনীয়তা হারাবে নৌ-যান

পদ্মা সেতু

সুজিৎ নন্দী: কাঙ্খিত পদ্মাসেতু চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগ সহজ হলেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চলাচলকারি নৌযানের প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। চিন্তা বাড়ছে এ নৌ-রুট দিয়ে চলাচলকারী লঞ্চ মালিকদের। যে কারণে বিকল্প রুট খুঁজছেন তারা। 

খুব শিঘ্রই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া সেতু নির্মানের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। এর মাধ্যমে অনেকটাই কমে আসবে নৌ-যানের প্রয়োজন। 

এরই মধ্যে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি লঞ্চ-মালিক সমিতির একাধিক নেতা বলেন, নতুন নৌ-রুটের জন্য জামালপুর-সারিয়াকান্দি রুট, নড়িয়া- চাঁদপুর রুটের আলুবাজার ফেরিঘাট এবং ফরিদপুরের চর-ভদ্রাসন-মৈনট ঘাটে লঞ্চ সার্ভিস চালু নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করছেন তারা। যদিও এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্র জানায়, প্রায় ৬ মাস আগে সমিতির সদস্যরা বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের কয়েকটি নৌ-রুট পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু নতুন নৌ-রুট নির্ধারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পায়নি লঞ্চ মালিকরা।

লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া রুটের একাধিক মালিক জানান, এ নৌ-রুটের প্রায় ৯০টি লঞ্চের চালক-শ্রমিকসহ কমপক্ষে দশজন সদস্যের দশটি করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সব মিলিয়ে হাজার খানেক পরিবারের রুটি-রুজি আসে এ রুটের লঞ্চগুলো থেকে। সেতু চালু হলে যেহেতু এ রুটের প্রয়োজন হবে না, তাই আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বরাবর তিনবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের উদ্ধতন মহল থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এদিকে সেতু চালু হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজনীয়তা হারাবে এ রুটের নৌ-যানগুলো। তাই লঞ্চ মালিকরা ভিন্ন রুটে কিছু কিছু তাদের লঞ্চ পরিচালনা করার কথা ভাবছেন। এই ঘাটের লঞ্চগুলো বিকল্প নৌ-রুটে নেওয়ার কথা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে অসংখ্য পরিবারের জন্য ভালো হবে। অন্যথায় সবাইকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতি জানায়, করোনাকালে দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিক-শ্রমিকরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেতু চালু হলে এ ঘাটের লঞ্চগুলো অন্যত্র চালাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট খাতে জীবিকা নির্বাহে সম্পৃক্ত হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হঠাৎ করেই বেকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে অনেকের। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাই সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন তারা। একই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছে লঞ্চ মালিক সমিতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়