সুজিৎ নন্দী: রাজধানীতে এবার ১৫টি পরিবহনের ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। অতিরিক্ত বাসভাড়া, যাত্রী হয়রানিসহ একাধিক কারণে ই-টিকিটিং চালু হবে। সোমবার (৯ জানুয়ারি) ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলী অঞ্চলের ১৫টি কোম্পানিতে বর্তমানে ৭১১টি বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় চলবে। বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম।

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা বিগত দিনে সমাধান করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস এগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল।

ই-টিকিট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকিট দেওয়া শুরু করেছি, তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেতো না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকিটিং মেশিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

জানা যায়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রজাপতি পরিবহন, পরিস্থান পরিবহন, অছিম পরিবহন, নূর-ই-মক্কা পরিবহন ও বসুমতির বাসে ই-টিকিট সুবিধা চালু করে। এরপর ১৩ নভেম্বর থেকে মিরপুর অঞ্চলের ৩০টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসে।

এসএন/এএ