শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৪১ বিকাল
আপডেট : ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে চলবে বিশ্বের বৃহত্তম গতিপথের প্রমোদতরী

গঙ্গা বিলাস

বিশ্বজিৎ দত্ত: ভারতের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসামের ডিব্রুগড়, জলপথে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে ‘গঙ্গা বিলাস’। বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদতরীর উদ্বোধন করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৩ জানুয়ারি মোদীর নির্বাচনি এলাকা বরানসিতে প্রমোদতরীটি উদ্বোধন করা হবে। ভারতের একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশের নৌ সচিব মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ১৩ তারিখ উদ্বোধনের আগেই বাংলাদেশে আমরা একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করবো। সেখানে পররাষ্ট্র, স্বারাষ্ট্র, পর্যটন, বাণিজ্য ও এনবিআরের কর্মকর্তারা থাকবেন। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে বাংলাদেশে প্রমোদতরীটি আসার পর কারা কোন দায়িত্ব পালন করবে। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরফে কেউ থাকবেন বলে তিনি জানেন না বলে জানান। 

প্রমোদতরী  ‘গঙ্গা বিলাস’কে বৃহত্তম বলা হচ্ছে তার আকারের কারণে নয়, বরং তার গতিপথের কারণে। প্রমোদতরীর এত বড় যাত্রাপথ বিশ্বের আর কোথাও নেই।  আগামী ১৩ জানুয়ারি এই প্রমোদতরীর সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

 মোট ৫০ দিন ভারত এবং বাংলাদেশের নদনদীতে চড়ে বেড়াবে ‘গঙ্গা বিলাস’। তার যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ স্থান। ঘুরতে ঘুরতে সেগুলি দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। তার যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ স্থান। ঘুরতে ঘুরতে সেগুলি দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। ‘গঙ্গা বিলাস’-এর যাত্রাপথে পড়বে ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদী। যাওয়ার পথে সুন্দরবন কিংবা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান পড়বে। ‘গঙ্গা বিলাস’-এর অন্দরে রয়েছে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের ঢালাও আয়োজন। গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

সেই সঙ্গে থাকছে শরীরচর্চা, রূপচর্চার কেন্দ্র। বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে একবারে ৮০ জন যাত্রীর থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। নদীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রমোদতরীতে আলাদা স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।প্রমোদতরীর ভিতরে থাকবে মোট ১৮টি কেবিন। তাতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাজানো শৌচাগার, বারান্দা, থাকছে সবই। জলজীবনে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সব রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেও প্রস্তুত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বক্সার, রামনগর, গাজিপুর পেরিয়ে অষ্টম দিনে পটনা পৌঁছবে ‘গঙ্গা বিলাস’। সেখান থেকে ফরাক্কা, মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে আরও দু’দিন। কলকাতা থেকে এর পর ও পার বাংলার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ‘গঙ্গা বিলাস’। বাংলাদেশের নদীতে এই প্রমোদতরী ঘুরে বেড়াবে আরও ১৫ দিনের জন্য।বাংলাদেশ থেকে গুয়াহাটি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করবে বৃহত্তম প্রমোদতরী। অসমের ডিব্রুগড়ে তার যাত্রা শেষ হবে।প্রমোদতরীটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করবে। 

এর ৫০দিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২৮০ ডলার (প্রায় ১২ লাখ টাকা)। এটি অবশ্য নির্ভর করছে গন্তব্য ও দূরত্ব অনুযায়ি। কেউ ইচ্ছা করলে অল্প দূরত্বেও ভ্রমণ করতে পারবেন। ভারতে প্রমোদতরীটি পরিচালনা করবে রেইন ফরেস্ট নামের একটি বিদেশি কোম্পানি। এই কোম্পানি  ওয়েবসাইটে  আগাম টিকেট বিক্রয় করছে।   বাংলাদেশে আমাজন বাংলাদেশ নামের একটি কোম্পানি এখানে টিকিট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত বলে রেইন ফরেস্ট কোম্পানি সূত্রে জানা যায়। তবে প্রমোদতরীটি বাংলাদেশে কি ধরনের শুল্ক দিবে বা একটি বেসরকারি নৌপরিবহন কিভাবে বাংলাদেশে পরিচালিত হবে এ বিষয়ে সরকারের কোন কর্মকর্তাই কিছু বলছেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়