শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:০১ বিকাল
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেট্রোরেলে উঠতে দীর্ঘ লাইন, নতুন যাত্রীদের জন্য যা থাকছে

আঁগারগাও স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন

শাহীন খন্দকার: প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেল। মেট্রোরেল উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দেখা যায় আঁগারগাও স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। ছুটির দিনেও তারা শুধু মেট্রোরেল ঘুরতেই এসেছেন। আর বেশিরভাগই নতুন যাত্রী। শুরুতেই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। চাইলে ম্যানুয়াল বা কার্ডের মাধ্যমে টিকিট নিতে পারবেন। দুই ধরণের টিকিটের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে।

প্রথম যাত্রায় নিজেদের সাক্ষী করতে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। এতে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী স্টেশনের বাইরে ভোর ৫টা থেকে এসে অপেক্ষা করছেন ভেতরে ঢোকার জন্য। তাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে এর আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসেবে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, সে রকম অভিজ্ঞতা নিতে অনেকেই এসেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল ৮টার পর থেকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। এরপর যাত্রী প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার পরই হুড়মুড় করে সবাই স্টেশনে ঢোকেন। লাইনে থাকা অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মূলত কোনো কাজের উদ্দেশ্যে আজকে মেট্রোরেলে চড়ছে না। অনেকেই প্রথম দিনে মেট্রোরেলের অভিজ্ঞতা নিতেই স্টেশনে এসেছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণী বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধন হওয়াতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি সকাল থেকেই লাইনে এসে দাঁড়িয়ে আছি।

কিন্তু দীর্ঘ লাইন ও অতিরিক্ত মানুষের চাপে ভেতরে ঢুকতে পারছি না। আমরা যেহেতু অনেকক্ষণ ধরেই লাইনে আছি, আমাদের উচিত কোনোরকম বিশৃঙ্খলা না করে ধৈর্য ধরে ভেতরে প্রবেশ করা। মেট্টোরেলে প্রবেশের পূর্বে  প্রথমে কার্ড কিনতে হলে মেট্রোরেলের বিক্রয় মেশিনে (ভেন্ডিং মেশিন) গন্তব্য বাটন এরপর কার্ড সংখ্যা নির্ধারণ বাটনে প্রেস করতে হবে। সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর মেশিনে টাকা দিতে হবে। প্রত্যেকটি ধাপে সেখানে দায়িত্বরত কর্মীরা সাহায্য করবে। তবে জেনে রাখতে হবে, বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে কিনতে একটি টিকিট কেনার প্রয়োজন হলে আপনাকে খুচরা টাকা দিতে হবে। ৬০ টাকা ভাড়া হলে ৫০ এবং ১০ টাকার নোট দিতে পারবেন।

তবে ১০০ টাকার নোট দিলে বাকি টাকা ফেরতযোগ্য না। আর টাকা কোনোভাবেই পুরনো এবং ভাঁজ থাকা যাবে না। তাহলে মেশিনে ঢুকবে না। টিকিট কাটার পর চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখা যাবে কার্ড পাঞ্চ করার এবং ম্যানুয়াল টিকিটে প্রবেশের গেইট রয়েছে। সেখানেও লাইনে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের সাহায্য কার্ড পাঞ্চ করে ভেতরে ঢুকবেন। কার্ডটি সংগ্রহ করে অপেক্ষা করলে কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন আসবে। এর পরে আপনি যা যা করবেন না, তাহলো দরজার বাইরে মেঝেতে হলুদ বর্ডার লাইন আছে। যেটি বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে কোনোভাবেই পা রাখা যাবে না। ট্রেন আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দরজা খুলে যাবে। লাইনের শৃঙখলা বজায় রেখে ট্রেনে উঠতে হবে। তাড়াহুড়ো বা হুড়োহুড়ি করা যাবে না।

ট্রেনে থাকা মনিটরে পরবর্তী স্টেশনের নাম উঠবে এবং স্পিকারে বলেও দেয়া হবে। যে গন্তব্যের টিকিট কাটা হয়েছে সেখানেই নামতে হবে। অন্য স্টেশনে নামা যাবে না। ভুল হলে ভোগান্তি হবে অথবা ইচ্ছাকৃত হলে কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে। ট্রেনে কোনো রকম খাবার খাওয়া যাবে না। বগির ভেতরে লেখা আছে পানাহার নিষেধ। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে। তারা ব্যতীত সেখানে কেউ বসা যাবে না। তবে জায়গা খালি থাকলে বসতে পারেন। ট্রেনের দরজায় দাঁড়ানো যাবে না। সিট না থাকলে ধরে দাঁড়ানোর জন্য প্যাসেঞ্জার হ্যান্ডেল আছে।

এছাড়া আয়রনের পিলারও আছে। তাই হালকা ঝাঁকুনির সমস্যায় এগুলো ব্যবহার করতে হবে। কারও সমস্যা হয় সেভাবে দাঁড়ানো যাবে না। যদি কেউ তাৎক্ষণিক বের হতে চায় সেক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে রেলের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক বগিতে দুটো করে বাটন আছে। জরুরি প্রয়োজনে সেখানে প্রেস করে অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। খুব বেশি প্রয়োজন হলে তারা এসে কথা বলবেন। ট্রেন থেকে বের হতে চাইলেও চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আলাদা বাটন রয়েছে। সেখানে প্রেস করে নামার কারণ জানালে তিনি ট্রেন থামাবেন।

মেট্রোরেলে যেহেতু ওয়াশরুম থাকে না তাই সেরকম প্রয়োজন হলে ট্রেন থেকে নামতে হবে। আর গন্তব্যে পৌঁছাতে যেহেতু ৫ মিনিটের বেশি লাগে না তাই এ বিষয়ে খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হয় না। গন্তব্যে পৌঁছে এবার কার্ড মেশিনে পাঞ্চ করলে সেটা জমা হয়ে যাবে। একইভাবে বের হওয়ার রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে নেমে যাবেন।

এসকে/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়