শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২২, ০৯:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজ ৪৬ শতাংশ সম্পন্ন

সালেহ্ বিপ্লব : যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বাড়াতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে নির্মিত হচ্ছে। এটি হবে দেশের বৃহত্তম রেলসেতু। বাসস

১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। একই সঙ্গে একটি পৃথক রেলসেতুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সরকার রেলসেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ  মো. মাসউদুর রহমান জানান, সেতুটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানের সাহায্যে নির্মিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ১২টি পিলারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে ডুয়েল-গেজ ও ডবল-ট্র্যাক। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে শেষ দুটি পয়েন্টের ওপর নির্মাণ কাজ চলছে।

এই প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু ব্রিজ পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন এবং রেলইয়ার্ডগুলো সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে। এই সেতুর ওপর দিয়ে রেল চলবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে। 

সাইট চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক বলেন, লাইন ক্রসিংয়ের জন্য কোন ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হবে না বিধায় এই ডুয়েল-গেজ ডবল-ট্র্যাক রেলসেতুটি অন্তত ২০ মিনিট সময় বাঁচাবে। 

এখন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে ৩৮টি ট্রেন আসা-যাওয়া করতে পারে। বঙ্গবন্ধু রেলসেতুটি চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। রেলসেবার মান উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগও জোরদার হবে।

১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০২৪ সাল নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। রেলসেতুটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে এটি বঙ্গবন্ধু সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে।

রেলসেতুটি ভারত, নেপাল ও ভূটানের মতো প্রতিবেশী দেশের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোয় ভূমিকা রাখবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়