ডেস্ক নিউজ : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর টঙ্গী অংশে দেখা দিয়েছে খানাখন্দ। বিশেষ করে টঙ্গী মিলগেট ও স্টেশন রোড এলাকায় সড়কে জমা হয়েছে কাদা। এছাড়া কিছু অংশে ফাটল ধরেছে।
এতে যানবাহন চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। কোথাও কোথাও গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। গতকাল মঙ্গলবার তীব্র যানজট লেগেছিল। বাংলানিউজ, ঢাক পোস্ট
আজ বুধবার অবস্থা আরোও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ভোর থেকেই শুরু হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। টঙ্গীর মিলগেট থেকে গাড়ির জট এসে ঠেকে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রাজধানীর কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভোর থেকেই উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুরগামী সড়কে যানবাহনের জটলা দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অফিসের সময় শুরু হওয়ার আগেই যানজট বনানী ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া বনানী থেকে বিমানবন্দরগামী যানবাহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
অনেকক্ষণ পর পর কিছুটা এগুলেও আবার দাঁড়িয়ে থাকছে এক স্থানেই। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এই রাস্তা ব্যবহার না করাই ভালো। মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা ১ ঘণ্টাতেও পার হওয়া যাচ্ছে না। গাজীপুর থেকে যারা উত্তরা কিংবা ঢাকায় গিয়ে অফিস করে তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এজন্য অনেকেই বিকল্প রাস্তায় কিছুসময় হেঁটে কিংবা রিকশা পরিবর্তন করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, বিআরটি প্রকল্পে কাজের কারণে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টিতে সেসব খানাখন্দে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকছে না। ধীরগতি থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে বাড়তে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে আর সময়ের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে গাড়ির সারি।
ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, গাজীপুর অংশে গাড়ি ঢোকতে পারছে না বললেই চলে। এরফলে সকাল থেকেই যানজট চলে গেছে প্রায় রাজধানীর বনানী পর্যন্ত। বাংলাদেশ জার্নাল
জেএ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :