মহসীন কবির: রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর নিয়ম মেনেই ভাড়া নিচ্ছে বিআরটিসি বাস। অতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না। তবে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। একেক জনে একেক কথা বলছেন। কেউ বলছেন তেলের দাম এত বেশি না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়াতে পারতেন। কেউ বলছেন সরকার তো জনগণের সরকার না, যদি জনগণের সরকার হতো তাহলে এতো টাকা বাড়াতেন না।
জানা গেছে, অন্যান্য বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা নিতে চাচ্ছে না। ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাচ্ছে। সরেজমিনে রোববার সকালে রাজধানীর কলেজগেট, ফার্মগেট, সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ, তেজগাঁও, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলানিউজ জানায়, গাজীপুর থেকে সদরঘাট অভিমুখী গুলিস্তান পরিবহনে মহাখালী থেকে পল্টন পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা হলেও, বাসের কন্ট্রাকটাররা ৩০ টাকা দাবি করছেন। যা ৩৫ পয়সা কিলোমিটার হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি।
অন্যদিকে, বলাকা পরিবহনের বাসগুলোতে সায়েদাবাদ থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়া ১৫ টাকা হলেও সেখানে ২০-২৫ টাকা ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে অন্যান্য রুটেও মোটামুটি একই অবস্থা।
জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন নামে একজন বলেন, এসব নতুন কিছু না ভাই। প্রত্যেকবার তেলের দাম বাড়লেই চালক-হেলপাররা এরকম উল্টোপাল্টা ভাড়া দাবি করেন। বাধ্য হয়ে আমরাও দিই। কারণ, অন্যকিছু তো এফোর্ট করতে পারব না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমরা এই আশঙ্কাই করছিলাম। সরকার ভাড়া বাড়াতে পারে, কিন্তু সেটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমরা, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি। আদতে, ভাড়ার হিসেবের ফাঁক-ফোঁকর জনগণকে বুঝতে দেওয়া হয় না। ফলে, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকরা মিলে সে ফায়দা লুটে নেয়।
এদিকে, বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি মনিটরিং করবে বিআরটিএ। রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বিআরটিএ'র ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :