শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২২, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২২, ০২:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেলের দুর্নীতি রোধে প্ল্যাকার্ড হাতে এবার চট্টগ্রাম স্টেশনে ৬ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলওয়ের দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, টিকেট কালোবাজারী, কর্মচারি থেকে উর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার অশোভন আচরণ, দায়িত্ব অবহেলাসহ নানা ঘটনা লেগেই রয়েছে সবসময়। এ ঘটনার জের ধরেই বিভিন্ন অভিযোগ নানাভাবে দেয়া হলেও কোনো ধরণের সুরাহা হচ্ছে না বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে এবার রেলওয়ের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ মাহিন রুবেলসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী। রবিবার প্ল্যাকার্ড হাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করেন তারা। এর আগে এ দাবি নিয়ে ১০ দিন ঢাকায় কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে বিভিন্ন অনিয়ম পরিবর্তনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে ছয় শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে 'আমরা দিব ফুল ভালোবাসা, আপনারা দিন একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’। 

রেলের অব্যবস্থাপনার পরির্বতনের ৬ দফা দাবিও তুলে ধরেন তারা। এসময় রেলের কিছু কর্মচারি-কর্মকর্তা কৌশলে সংহতি প্রকাশ করলেও নাম প্রকাশ না করতেও বলা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকান্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

চবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন রুবেল বলেন, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সকালে রেলের কর্মকর্তারা আমাদের কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে বলেছে। আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাব। তবে এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) ইতি ধরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

অভিযোগ আছে, চট্টগ্রাম, কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর এএসআইসহ কয়েকজন হাবিলদার ও সিপাহীরা মদ্যপান করে রাতের অন্ধকারে উল্লাস করেন। এতে ট্রেনের সাধারণ যাত্রীসহ পথচারিরা আতংকের মধ্যে থাকেন প্রতিনিয়তই। এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তারা কোনো ধরণের দায়িত্বশীল আচরণ করেন না। ফলে বেড়েই চলেছে এমন তৎপরতা।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, রেলের স্টাফদের বিষয়ে কোনো ধরণে অভিযোগ ও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। রেলমন্ত্রীরও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এতে কোনো ধরণের তথ্যবহুল অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও কাজী আশিকুর রহমান। এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ কয়েকজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়