শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন তিথি ও নাইম ◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২২, ০৬:০৮ বিকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২২, ০৮:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের অনুমতি

পদ্মা সেতু

শাহীন খন্দকার: পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর জন্য রেলওয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের কাছে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করেন। এর মধ্য দিয়ে সেতুর নিচের অংশে রেললাইন স্থাপনের অনুমতি পেল বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা উভয় সেতুর নিচের অংশে ১৭ জুলাই সকালে পরিদর্শন করেন। এরপর সেতু রেলের কাছে হস্তান্তর করে পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন,রেললাইন স্থাপনের জন্য সেতু বুঝিয়ে দিতে শুরু করেছে। বিষয়টি আসলে একদিনের নয়।

তিনি বলেন, কাজ সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দিতে অন্তত তিন থেকে চারদিন সময় লাগবে। এরপর আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব যে, সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচলে কোনো ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয় কি না। আর তাতে রেললাইন স্থাপনের কাজে অসুবিধা হয় কি না। এ সকল বিষয় দেখার পরেই লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।

প্রকল্পের পরিচালক আরও বলেন, এতে করে পুরোপুরো কাজ শুরু হতে চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যাবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লাইন স্থাপনে ছয় মাসের মতো সময় লেগে যাবে। সে হিসাবে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে পুরো লাইন বসানোর কাজ শেষ করতে পারবো। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে থাকা এই প্রকল্পটি মোট তিন ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে মাওয়া, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙা আর তৃতীয় অংশ ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাওয়া থেকে ভাঙা অংশ শুরু হবে আগে, ঢাকা থেকে মাওয়া পরে এরপরে ভাঙা থেকে যশোর। এ কাজের মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়ার অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত ৫১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

সব মিলিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে জানুয়ারিতে কাজ শেষ হবে মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত, ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে ঢাকা থেকে মাওয়া অংশ এবং ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে।

সেতু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা, যশোর, দর্শনা, বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি আসছে জানুয়ারির মধ্যে চালু হয়ে যাবে, তা মংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে। 

এদিকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চালাতে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইন রেললাইন নির্মাণকাজ চলছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর ২১ মিটার প্রশস্ত সড়কে (আপার ডেক) ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান চলাচল উদ্বোধন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়