ডেস্ক রিপোর্ট: কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে বরিশাল নদীবন্দরে মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সব লঞ্চের ডেক পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে এসব লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ইত্তেফাক
শুক্রবার দুপুরে গ্রিন লাইন-৩ ও সন্ধ্যার পর পারাবত- ৯, ১০, ১২ ও ১৮, মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা- ২ ও ১০, সুরভী- ৮ ও ৯, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর ছেড়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কর্মস্থলগামী মানুষ কেবিনের টিকেট না পেয়ে লঞ্চের ডেকে বসার জায়গা করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা লঞ্চের ডেকে, ছাদে ও কেবিনের আশপাশসহ বারান্দায় কোনো রকম চাদর বিছিয়ে বসে পড়েন। সন্ধ্যার আগেই টার্মিনাল এলাকায় হাজার হাজার যাত্রীর ঢল নামে।
টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষ লঞ্চের মূল সিড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠছেন। পন্টুনে নারী ও শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
সদর নৌ পুলিশ থানার ওসি হাসনাত জামান জানান, মোট ১৫টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করেছে।
শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির কোনো জাহাজ না থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী যাতে কোনো লঞ্চ বহন করতে না পারে সেজন্য আমরা নদীবন্দরে টহল দিচ্ছি। যাত্রীদেরও সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও ঢাকাগামী বাসে কোনো টিকেট মিলছে না। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা যে বাস পাচ্ছেন তাতেই গাদাগাদি করে যাচ্ছেন। এছাড়া যাত্রী চাপ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক বিভাগের) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বাস টার্মিনাল ও নদী বন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :