শাহীন খন্দকার: রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে শতাধিক ফাঁকা আসন নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে পদ্মা এক্সপ্রেস। ঈদের আগে ফিরতে ট্রেনের টিকিটের জন্য কমলাপুর স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যখন অপেক্ষা। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মজীবি মানুষেরা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য ছুটি শেষে বাড়ী থেকে ঢাকায় ফিরছেন ট্রেনে বাসে লঞ্চে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রেন যাত্রীরা জানিয়েছেন, ট্রেন ছাড়ার পাঁচদিন আগে ঈদের ফিরতি টিকিট সংগ্রহ করার নিময় করে দেয় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।
রিনা আক্তার জানান পাঁচদিন আগে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকিট পান নাই। আবার অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে বরাদ্দকৃত টিকিটও শেষ হয়ে যায়। এমন অভিজ্ঞতা রাজশাহীর শতাধিক ট্রেন যাত্রীর।
তিনি আরো জানান, ট্রেনের টিকিট কিনতে আসাতার মতো অনেকেই ভুক্তভুগি, আজকে (১২ জুলাই) ঢাকা যাওয়ার জন্য পাঁচদিন আগে টিকিট কাটার জন্য এসেছিলাম।
কিন্তু টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছি। অথচ আজ (১২ জুলাই) হঠাৎ অনলাইনে ঢুকে দেখি অনেক সিট ফাঁকা। তাই সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কেটে নিলাম। আজ পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় আসলাম। আরেক যাত্রী বললেন, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ৫ মিনিট পূর্বে এসি ক্যাবিন, এসি চেয়ার ও শোভন শ্রেণির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন খালি দেখা গেছে।
তিনি আরো বলেন,যেখানে টিকিটের জন্য মানুষের হাহাকার, রাতভর অপেক্ষাসহ নানামুখী বিড়ম্বনার শিকার শত শত যাত্রী। সেখানে ট্রেনের আসন খালি যাবে এটা কি ভাবা যায়? ট্রেন চলাচলে এবং আসন বরাদ্দে চরম দায়িত্ব¡হীনতা ও কর্তব্যে অবহেলার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পদ্মা এক্সপ্রেস।
পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন,পদ্মা এক্সপ্রেন ট্রেনটি শিডিউল ট্রেন ছিলোনা। ১৩ জুলাই ও ১৪ জুলাই যাত্রীর চাপ কমানোর জন্যই ১২ জুলাই ট্রেনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এজন্যই সম্ভবত কিছু আসন ফাঁকা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :