শাহীন খন্দকার: সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের তিন দিন মিলিয়ে এবার ৪ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) এই ছুটি শেষ হওয়ায় এরই মধ্যে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজিবীরা।
তবে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়নি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশই ট্রেনেই যাত্রীদের ফেরা খুবই কম ছিলো।
রাজশাহী থেকে আসা যাত্রী আইভি একজন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী। তিনি বলেন, কাজে যোগ দিতেই সকালের ট্রেনে চলে এসেছেন। তবে পরিবার রেখে এসেছেন বাড়িতে। এমন অনেকেই একা ফিরেছেন আজ। যে কারণে ট্রেনে ঢাকা ফেরার চাপ কম। তবে ঈদের তৃতীয় দিনেও ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
যারা ঈদের সময় বাড়ি যেতে পারেননি তারা এবার ছুটছেন। রংপুর এক্সপেসের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছেন, তাজুল ইসলাম দম্পত্তি। তিনি বলেন, ঈদের সময়ে ট্রেনের টিকিটের জন্য দুইদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ও টিকিট না পাওয়াতে বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই ঈদের পরেই বাড়ি যাওয়া হচ্ছে আজ।
সৈয়দপুর ও নাটোরের শরিফ বেগম ও সুজন চাকুরী করেন বিদেশী একটি দূতাবাসে গুলশানে। ঈদের আগে তারা যাননি যানজটের কারনে। আজ মঙ্গলবার ৪ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারোয়ার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোরবানির ঈদে সকলেই একটু বাড়ী থেকে দেরী করেই আসেন। সেজন্য হয়তো একান্ত যাদের প্রয়োজন তারাই ট্রেনে করে রাজধানীতে ফিরছেন।
আবার অনেকেই পরিবারবাড়িতে রেখে একাই ফিরছেন কাজের তাগিদে। তবে বর্তমানে ট্রেনের কোন সিডিউল বিপর্যয় নেই বলে তিনি জানান। যাত্রীরা যাচ্ছে এবং রাজধানীতে ফিরেও আসছেন। টিকেট পেতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :