আখিরুজ্জামান সোহান: ঈদ মৌসুমে সড়কে যানযটের চিত্র নতুন নয়, তবে এবারের চিত্র আরও বেশি ভয়ানক। গেলো কয়েকবারের থেকে এবার তাই ভোগান্তির মাত্রাটাও অসহনীয়।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গিয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাস ১২ ঘন্টাতেও যমুনা সেতু পাড় হতে পারছে না।
চন্দ্রা মোড়, বাইপাইল, মির্জাপুরসহ এলেঙ্গার বিভিন্ন পয়েন্টে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে বাস, মাইক্রোবাস, পিক আপসহ বিভিন্ন পরিবহন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভোগান্তির পরিমাণও বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অবস্থা অনেক বেশি শোচনীয়। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। দীর্ঘ বিরতিতে কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছে বাস তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ যানযটের কারণে একই জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
তবে ভোগান্তির নতুন মাত্রা তৈরি করেছে রাস্তার পাশে অস্থায়ী খাবারদোকানগুলো। দীর্ঘ সময় যানযটে আটকে থাকার ফলে যাত্রীরা খাবার কিনতে শরণাপন্ন হচ্ছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। তবে স্বাভাবিকের থেকে কয়েকগুন বেশি দামে এসকল দোকানগুলোতে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ আক্তার হোসেন। গাবতলী থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বিকেল ৪টায়।
বিকেলের দিকে আমিনবাজার সাভার এলাকায় বাসের চাপ কম থাকায় সময়মতোই ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিপর্যয় বাধে চন্দ্রায় পৌঁছানোর পর।
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ ঘন্টা।
তিনি আমাদেরসময়.কমকে জানান, ইতিমধ্যেই ১৩ ঘন্টা চলে গিয়েছে যমুনা সেতু পাড় হতে পারলাম না, ঈদের নামাজের আগে বাসায় পৌঁছানো যাবে কিনা, সেটি নিয়েই চিন্তায় আছি।
১৩ ঘন্টায় গাবতলী থেকে এলেঙ্গা, ঈদের নামাজে শরিক হওয়া নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :