শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুব শিগ্রই চালু হচ্ছে চালু হচ্ছে মিরপুর-১০ স্টেশন

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনে যাত্রী চাহিদা অনেক। প্রতিদিন ৩০-৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো এখান দিয়ে। স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের অনেকেই মেট্রো ব্যবহার করছেন না। সড়কে যানজটের মধ্যে চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়ছেন এসব যাত্রী। এ ছাড়া এই স্টেশন বন্ধ থাকায় আয়ও কম হচ্ছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)। এসব কারণে দ্রুতই মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনটি চালুর চেষ্টা করছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি। ডিএমটিসিএল’র ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে, চলতি অক্টোবর থেকে মিরপুর-১০ স্টেশনটি চালু হতে পারে। স্টেশনটি চালু করতে খরচও হবে খুব কম।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, দুর্বৃত্তদের হামলায় মিরপুর-১০ স্টেশনটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিভিএম, প্যাসেঞ্জার গেট, কন্ট্রোলরুম, ডিসপ্লে, ক্যামেরাসহ প্রায় সব ধরনের যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো প্রোপাইটর আইটেম। এসব উপকরণ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সিস্টেম ও ডিজাইন করা হওয়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওয়া যায় না। তাই যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখন যেসব স্টেশনে তুলনামূলক কম যাত্রীর চাপ রয়েছে সেসব স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রপাতি এনে সমন্বয় করে মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করা হবে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ এই তিন স্টেশন থেকে গেটসহ কিছু যন্ত্রাংশ এনে মিরপুর-১০ স্টেশনে লাগানো হবে। এ ছাড়া ট্রেনিং সেন্টার থেকেই আপাতত কিছু যন্ত্রাংশ আনা হবে। যেসব যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করে তা ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনে ব্যবহার করা যাবে সেগুলোও কেনা হচ্ছে। এতে আপাতত খরচও কম হচ্ছে আবার যাত্রীরাও দ্রুত স্টেশনের সেবা পাবে।

ডিএমটিসিএল’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব উপকরণ ধার করার কারণে এখন মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনটি চালু করার জন্য খরচ কম হলেও এটা প্রকৃত খরচ নয়। কারণ যেসব জায়গা থেকে উপকরণ এনে এই স্টেশনটি চালু করা হবে সেসব জায়গায় পরবর্তীতে যন্ত্রগুলো লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে সেগুলো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে। তখন প্রকৃত খরচ বলা যাবে। এখন ব্যয়ের কৃচ্ছ্রসাধণ করে ন্যূনতম খরচে স্টেশনটি চালু করতে চায় ডিএমটিসিএল। 

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ মানবজমিনকে বলেন, সড়ক উপদেষ্টার নির্দেশনা রয়েছে মিরপুর-১০ স্টেশনটি দ্রুত চালুর। এখন স্টেশনের কাজ চলছে। দ্রুতই সেটা চালু করে দেয়া হবে যাতে যাত্রীরা অল্প সময়ের মধ্যে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এই স্টেশনটিও কম খরচে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে গত ১৮ই জুলাই থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোরেল। তবে গত ২৫শে আগস্ট ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন বাদে চালু করা হয় মেট্রোরেল। এরপর গত ২০শে সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়। তবে এই স্টেশনটি চালু করতে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এখন মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। এদিকে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করেছিলেন, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন আগামী এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না। গত ২৭শে জুলাই সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়