ডেস্ক রিপোর্ট: সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষ। এই ১৬ কিলোমিটার এলাকার সাহেবগঞ্জ এলাকায় বেশি যানজট রয়েছে। এ ছাড়া এই যানজট বেড়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পার হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের পাচলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টার পর থেকেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এই এলাকার কোথাও কোথাও থেমে থেমে যান চলাচল করছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ থাকলেও যানজট নেই।
সিরাজগঞ্জ থেকে বাবার বাড়ি নওগাঁ যাচ্ছেন নিপা মোহন্ত। তিনি মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকা থেকে মুঠোফোনে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পার হওয়ার পর থেকেই যানজট। সাহেবগঞ্জ এলাকায় তীব্র যানজট পাড়ি দিয়ে দেড় ঘণ্টায় সাহেবগঞ্জ থেকে ভূঁইয়াগাঁতীর কাছাকাছি এসেছি। এখন ধীরগতিতে গাড়ি চলছে। এর মধ্যে সাহেবগঞ্জ এলাকাতেই এক ঘণ্টা আটকা ছিলাম।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় কিছুক্ষণ আগে যানচলাচল স্বাভাবিক থাকলেও এখন একটু যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাটিকুমরুল থেকে সাহেবগঞ্জ এলাকা হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট রয়েছে। সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছেন মানুষ। এতে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে সকাল থেকেই গাড়ির চাপ অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতুর পাশেই নবনির্মিত নলকা সেতুর দুইটি লেনই খুলে দেওয়ায় উত্তরের ২২ জেলার এবারের ঈদ যাত্রা যথেষ্ট স্বস্তির হবে বলে মনে করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :