শাহীন খন্দকার: [২.১] গতকাল শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রেলওয়ের গণসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা নাহিদ হাসান খান।
[২.২] এদিকে রেলওয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আপাতত এক দিনের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে আগামীকাল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[৩.১] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
[৩.২] বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, তুরাগ কমিউটার, কর্ণফুলী কমিউটার ও নারায়ণগঞ্জ কমিউটার চলাচল করে।
[৪] এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার ও নাজিরহাট কমিউটার, ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ এবং ঝারিয়া রুটে দুই দিক থেকেই লোকাল ট্রেন চলাচল করে। খুলনা-ঈশ্বরদী, রাজশাহী-রহনপুর, খুলনা-বেনাপোল, বেনাপোল-মোংলা, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা এবং রাজবাড়ী ভাটিয়াপাড়া রুটে ১২টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।
[৫] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের কারণে ১৮ জুলাই দুপুর থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে রেল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
[৬] রেলওয়ে জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৪০০ টির মতো যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালি এক্সপ্রেসও রয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় ১০ দিন আগে থেকে। ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী চলাচল করে প্রায় আড়াই লাখ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :