মুসবা তিন্নি: [২] শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, সংঘর্ষ ও দেশজুড়ে কারফিউ জারির প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরে উড়োজাহাজে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। এ সুযোগে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো টিকিটের বাড়তি দাম নিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
[৩] সমকাল জানায়, এখন আবার যাত্রীসংকটে ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে কোনো কোনো উড়োজাহাজ সংস্থাকে।
[৪] অভ্যন্তরীণ রুটে তিন দিন ধরেই যাত্রীরা টিকিটের বাড়তি দামের অভিযোগ করে আসছিলেন। কোনো কোনো যাত্রী বলেছেন, দেশের ভেতরে বিভিন্ন গন্তব্যে তাদের কাছ থেকে টিকিটের দাম ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
[৫] দ্য ডেইলি স্টার জানায়, অবশ্য উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো বলছে, নির্ধারিত ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট সাধারণত আগাম বিক্রি হয়ে যায়। শেষের দিকে যেসব টিকিট থাকে, তার দাম বেশি হয়।
[৬] উড়োজাহাজ সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, গত সোমবার থেকে যাত্রীর চাপ কমে এসেছে। এখন উল্টো যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে। সোমবার প্রায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়েছে।
[৭] দিনে দেশের মধ্যে মোট ১৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করে বেসরকারি এ উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার অ্যাস্ট্রা। যাত্রীস্বল্পতায় মঙ্গলবার তারা ফ্লাইট পরিচালনা করেছে মাত্র তিনটি। বুধবার পাঁচ থেকে ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৮] প্রথম আলো জানায়, বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ইউএসবাংলা বলছে, দেশের মধ্যে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ব্যবহৃত উড়োজাহাজের টিকিটের ১০ থেকে ১১টি স্তর আছে। এসব স্তরভেদে টিকিটের দাম ৫ হাজার ২০০ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তাই শেষ সময়ে টিকিট নিশ্চিত করলে সর্বোচ্চ দামে কিনতে হয়।
[৯] অবশ্য মঙ্গলবার পর্যন্ত শতভাগ টিকিট বিক্রি করেই ফ্লাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমান। দেশের মধ্যে বিভিন্ন গন্তব্যে তাদের ফ্লাইটের টিকিটের দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা। সম্পাদনা: এম খান
এমটি
আপনার মতামত লিখুন :