শিরোনাম

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৪:০৩ দুপুর
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৪:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাঙ্গাইলে পানির তোড়ে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আরমান কবীর, টাঙ্গাইল: [২] সদর উপজেলার দাইন্ন্যা ইউনিয়নের চারাবাড়ি ব্রিজের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

[৩] বুধবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

[৪] জানা গেছে, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, মাহমুদ নগর ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে।

[৫] ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার বর্ষায় দফায় দফায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ ধসে যায়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে ধস ঠেকায়।

[৬] এ দিকে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এই সড়কে চলাচল করে থাকে।

[৭] অটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ধস নামছিল। বুধবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।

[৮] কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত প্রদক্ষেপ না নিলে এ ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

[৯] উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিদর্শনে গিয়েছি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে।

[১০] টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের পাড় ধসে পড়ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাই দ্রুত ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[১১] তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ওখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার ভাবনা রয়েছে। আমি সবেমাত্র উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। আমি অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়