সুজন কৈরী: [২] রোববার দুপুরে রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীর কাছে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
[৩] স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন রেলপথ তৈরি করেছে। এই পথে শুধুমাত্র রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হলেও চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
[৪] এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে বিগত ঈদুল ফিতরের সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
[৫] সড়কে নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই অঞ্চলের মানুষ সীমিত সুবিধার এই ট্রেনটির প্রতি ঝুঁকছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যাত্রীবান্ধব বাহনে পরিণত হয়েছে। এই জন্য ঈদের পর নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় রেল প্রশাসনের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটি চলাচলের সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে।
[৬] এমন সুযোগ লুফে নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা যখন এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাস মালিকেরা একে একে সকল পরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দিলে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী প্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হন। তারপরেও বাসে যাত্রী না পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন সময়ে অদৃশ্য কারণে এই ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[৭] আরও বলা হয়, দেশের আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসগুলোর মধ্য অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী অকুপেন্সি বেশি এবং আয়ও বেশি। এছাড়া, ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথে ঢাকা থেকে দুটি ট্রেন চালালে বিনিয়োগ উঠবে না।
[৮] এতে রেল কর্তৃপক্ষের লোকসানের বোঝা দিন দিন বাড়বে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলপথে দুটি আন্তঃনগর ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীদের আন্দোলনের মুখে মাত্র একটি এসি ও একটি নন এসি দুটি কোচ বরাদ্দ রাখা হলেও এতে যাত্রীদের চাহিদার সিকিভাগও পূরণ হচ্ছে না।
[৯] এতে এইপথের যাত্রীদের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আবারও চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনটির মাধ্যমে এই রুটে নিয়মিত যাত্রীসেবা প্রদানের দাবি জানানো হচ্ছে।
[১০] স্মারকলিপি গ্রহণকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী ঈদ স্পেশাল হিসেবে চালু করা এই ট্রেনটি বন্ধ না করার আশ্বাস দেন বলে জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :