মাজহারুল ইসলাম : ঈদুল আযহা উপলক্ষে কমলাপুর রেল স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট না পাওয়ায় কালোবাজারির অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।
কালোবাজারির অভিযোগ অস্বীকার করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, যাত্রীদের চাপ বেশি। চাহিদার তুলনায় টিকিটের সংখ্যা অপ্রতুল। সেজন্য সংকট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু অব্যবস্থাপনা আছে বলেও স্বীকার করেছেন স্টেশন ম্যানেজার।
এবার ঈদে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। গতবাররের মত এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে এবং বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট মিলছে অনলাইনে। ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাইয়ে ৯ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারে এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে। টিকিট কেনার জন্য যাত্রীদের নিশ্চিত জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।
এবারই প্রথম পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঈদে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেন’ নামক এ ট্রেন গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে রংপুর ও লালমনিরহাটের যাত্রীরা পার্বতীপুর থেকে কানেকটিং ট্রেনে ফিরতে পারবে। জয়দেবপুর এবং কমলাপুরে এই বিশেষ ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে।
ঈদের ফেরত টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই। ঈদ শেষে ফিরতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১১ জুলাইয়ের টিকেট পাওয়া যাবে ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকেট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকেট ১১ জুলাই পাওয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :