হ্যাপি আক্তার: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্টেশনটির ১৬ কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে দুটি কাউন্টার নারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা রয়েছে। রেলস্টেশনের কাউন্টারগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অগ্রিম টিকিট পেতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ লম্বা হয়েছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন।স্টেশনে ভোররাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। এরমধ্যে অনেকেই পেয়েছেন টিকেট।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, এবার রাজধানী থেকে প্রতিদিনের জন্য ২৬ হাজার ৭১৩ আসনের টিকিট বিক্রি হবে। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ রেলস্টেশনের কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যানুযী, আজ (১ জুলাই) দেওয়া হচ্ছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই। ওইদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই দেওয়া হবে ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। তবে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারে এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে। টিকিট ক্রয়ের জন্য যাত্রীদের নিশ্চিত জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি দেখিয়ে টিকিট কাটতে হবে।
এদিকে, স্টেশন ও যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য আর. এন. বি কন্ট্রোল রুম, পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং র্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। সূত্র: বার্তা২৪, ডেইলি বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :