মাজহারুল ইসলাম : প্রথম দিনই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় পর সোমবার থেকে মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধের আদেশ দেয় পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ থাকা এবং মঙ্গলবার ফেরি না চলায় বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মাওয়া টোল প্লাজা এলাকায় দেখা যায়, বাস, প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন কোনো রকম অপেক্ষা ছাড়া টোল পরিশোধ করে জাজিরার উদ্দেশে রওনা করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর মাওয়া প্রান্তে কোনো চাপ নেই। মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ রয়েছে। সেতুতে না নামা, ছবি তোলা- এসব বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সেতু কর্তৃপক্ষের টহল দল সেতুতে টহল দিচ্ছে।
রোববার রাতে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচলও। সবশেষ গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ১১৯টা মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি। সেতু ও ফেরিতে মোটরসাইকেল পার করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মোটরসাইকেল আরোহীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ঘাটে ছয়টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্য চারটি সচল। পদ্মা নদীতে এখন প্রচণ্ড স্রোত। ফেরি চালালে ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। সকাল থেকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ঘাটে এসে ঘুরে চলে গেছে। যদি ঘাটে একটি ফেরি পূর্ণ করার মতো মোটরসাইকেল আসে, তাহলে ফেরি এ ঘাট থেকে ছাড়া হবে। সমকাল অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :