সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটির নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনে শনিবার এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গাবতলী বেড়িবাঁধ রোডে ডিএনসিসির ক্লিনার্স পল্লী আবাসন এর নির্মাণাধীন দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্ক বিল্ডার্স এবং মাইশা কন্সট্রাকশনকে দুটি মামলায় ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও তিনি মিরপুর মডেল থানাধীন দারুস সালাম রোডে সরকারী কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বংগ বিল্ডার্সকে একটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

[৩] অভিযানকালে অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ৯ ও ১২নং ওয়ার্ডস্থ গাবতলী সিটি কলোনী, পাইকপাড়া স্টাফ কোয়াটার এলাকায় প্রায় ১০০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে.কর্ণেল গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী। 

[৪] অঞ্চল-৫ এর ফার্মগেট এলাকায় অভিযানে ৪টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

[৫] অঞ্চল-৩ এর মহাখালী এলাকায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি ভবন মালিককে ২টি মামলায় মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

[৬] অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন হরিরামপুর এলাকায় ৪টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

[৭] অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন  এলাকায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৩৮৫টি স্পট পরিদর্শন করা হয়। 

[৮] অঞ্চল-১ আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযানে জোন অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, ২টি নগর মাতৃসদন, কবরস্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি, তবে ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে ।

[৯] এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

[১০] জানা যায়, মাসব্যাপী বিশেষ মশা নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না