আশিক নূরী: গৌহাটিতে রাম মাধবের পার্টিশন্ড ফ্রিডমের মোড়ক উন্মোচনে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। সম্প্রতি আসামের রাজধানী গৌহাটিতে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যতিক্রম গোষ্ঠির উদ্যোগে ভারতীয় জনতা পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গর্ভানিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রী রাম মাধবের সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ, ‘পার্টিশন্ড ফ্রিডম’-এর মোড়ক একটি অভিজাত হোটেলে উন্মোচন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম রাজ্যের মাননীয় গভর্নর গুলাব চান্দ কাটারিয়া। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি শ্রী গুলাব চান্দ কাটারিয়া ও শ্রী রাম মাধবকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপহার ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। অনুষ্ঠানে মাননীয় গভর্নর অধ্যাপক স্বপ্নীলকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যতিক্রম গোষ্ঠির উপদেষ্টা শ্রী অমরেশ রায়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী গুলাব চান্দ কাটারিয়া বাস্তব ইতিহাসভিত্তিক একটি বই রচনার জন্য লেখক রাম মাধবকে অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে ভারতের ইতিহাস আলোচনায় বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে। সভায় বইটির লেখক রাম মাধব জানান, তার এই বইটি লেখার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পাঠকদের ভারত ভাগের প্রকৃত ইতিহাস সম্বন্ধে অবহিত করা। তিনি বলেন, ভারতের বিভক্তির মূল শিক্ষাটাই হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের অখণ্ডতা রক্ষায় রুখে দাঁড়াতে হবে। জিন্নাহ কখনোই ভারতীয় মুসলমানদের নেতা ছিলেন না। একইভাবে মুসলিম লীগও কখনোই সর্বভারতীয় মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বশীল কোনো দল ছিলো না। তারপরও তারা জিন্নাহর নেতৃত্বে ভারতকে খণ্ডিত করতে সক্ষম হয়েছিল। রাম মধাব তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত আশা প্রকাশ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে এই দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সম্পর্ক দিনে দিনে আরো ঘণিষ্ঠ হবে। তিনি অনুষ্ঠানটি সফল আয়োজনের জন্য ব্যতিক্রম গোষ্ঠির কর্ণধার ড. সৌমেন ভারতীয়ার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম।  শ্রী পি. ভি. এস. এল. এন মূর্তি, চেয়ারম্যান, এনইডিএফআই, শ্রী পি. এস রেড্ডি, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, সাই বিকাশ এডুকেশনাল ট্রাস্ট, শ্রী সঞ্জয় আদিত্য সিং, সিইও, জেটউইংস গ্রুপ, শ্রীমতি কিরণ বোরো, প্রতিষ্ঠাতা কিরণ বোরো ফাউন্ডেশন, শ্রী চৈতালী সেনগুপ্ত, সিইও, এ্যাসপায়ারিং লাইফ কনসালটেন্টস, শ্রী মুকেশ আগরওয়াল, সিইও, ভ্যালি স্ট্রং সিমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রমুখ। সম্পাদনা: ভূঁইয়া আশিক রহমান

এএন/বিএআর/এসবি২