সুজিৎ নন্দী: ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হবে স্মার্ট সিটি। স্মার্ট ঢাকা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।

উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তিতে অগ্রগতির সার্বিক চিত্র ও আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

মেয়র বলেন, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিন বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করি। নগরের সেবক হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণের জন্য কাজ করতে। তিন বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি, আবার কিছু কাজ করা সম্ভব হয়নি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়েছি। 

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ডিএনসিসিতে অনলাইনে সেবা প্রদানের পরিধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের পাইলটিং সম্পন্ন করেছি। জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলরদের সহায়তায় আমরা কাজ করছি। নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। এই তিন বছরে উত্তর সিটির যত ধরনের সফলতা আছে তার সকল কৃতিত্ব জনগণের। আর সেই সঙ্গে যত ব্যর্থতা আছে তা আমার নিজের কাঁধে নিলাম।

শনিবার গুলশান নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

রাস্তার সিগন্যাল গুলোকে অটো করা প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখন আর সিগন্যাল হাতে চলে না। শুধুমাত্র আমাদের দেশের সিগন্যাল হাতে চলে। ট্রাফিক সিগন্যাল ইস্যু নিয়ে চলতি মাসে মিটিংয়ে বসবো। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে টেকনিক্যাল সমাধান নিয়ে কাজ করব। আমরাও খুব শিগগিরই ট্রাফিক সিগন্যালকে ডিজিটালে নিয়ে আসব।

এ সময় মেয়র বলেন, বিদেশ থেকে একটি সফটওয়্যার নিয়ে এসেছি। লেন ভিত্তিক কাজ পরিচালনার জন্য এ সফটওয়্যার কাজ করবে। যদি কেউ লেন অমান্য করে অথবা অতিরিক্ত গতিতে যদি গাড়ি চালায় তাহলে তার গাড়ির নম্বর পর্যালোচনা করে তার বাড়ির ঠিকানায় জরিমানার স্লিপ চলে যাবে। উন্নত দেশের মতো এমন সিস্টেম উত্তর সিটিতে দ্রুতই চালু হবে।

মিরপুর ১০ নম্বর শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি তথ্য পেলে সে যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোন চাঁদাবাজি চলবে না। আমি ইতিমধ্যে ডিএমপির সাথে আলাপ করেছি। কারো নামে যদি কোন অভিযোগের প্রমাণ পাই সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে উত্তর সিটি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আতিকুল ইসলাম। সেখানে নির্বাচিত হয়ে ডিএনসিসির মেয়র হন। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

এ সময় উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএন/এসএ