সুজিৎ নন্দী: ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন ৪৩টি মার্কেটের মধ্যে ২০টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ আর আটটি ‘অতি নাজুক’ হিসেবে চিহ্নিত করা ভবনের মধ্যে একটি কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়তের দ্বিতীয় তলা। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তারা আসলে ব্যবসায়িদের বাধায় তারা সিলগালা করতে পারেননি। কর্মকর্তারা ব্যবসায়িদের দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বলেন, এর মধ্য যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, সব দায় বাজার কমিটির। অন্য কেউ দায় নেবে না।
বৃহষ্পতিবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষিত আড়ত ভবনের দোতলা অংশে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম হাসানের নেতৃত্বে উত্তর সিটির একটি দল সিলগালা করতে আসে। এ সময় সিলগালা করতে গেলে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা বাধা দেয়।
সরেজমিনে জানান যায়, শত শত ব্যবসায়ী ও শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে নানা স্লোগান দেন। ব্যবসায়িদের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত কর্মকর্তারা ভবনের দোতলা অংশ সিলগালা না করেই ফিরে যান।
এ সময় অঞ্চল-৫ নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ জানান, আমরা যে ফেরত যাচ্ছি, সিলগালা করতে পারিনি, এই পরিস্থিতি বিস্তারিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরে যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কথা বলা শেষ হওয়ার পরেই ব্যবসায়ি-শ্রমিকেরা স্লোগান দিয়ে বলতে থাকেন ‘মানি না, মানব না’, ‘মার্কেট বন্ধ করা যাবে না’।
অঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ের সামনে বাজার কমিটি ও ব্যবসায়িদের সঙ্গে আবার কথা বলেন তারা। ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে মালপত্র সরানোর জন্য দুই মাস সময় চাওয়া হয়। কিন্তু কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সভাপতি শামীম হাসান ব্যবসায়িদের দুই সপ্তাহের সময় দেন। আগামী ২৫ মে ভবনের দোতলা অংশ সিলগালা করতে আবার আসবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ আট মার্কেটের মধ্যে রয়েছে-গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবন।
এসএন/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :