হ্যাপী আক্তার: রাজধানীর মগবাজার, গ্রিন রোড, মহাখালী, আজিমপুর, ধানমন্ডি, মালিবাগ, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস লিকেজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখন চুলা জ্বালাতে পারছেন বাসিন্দারা।  জাগোনিউজ, ঢাকা টাইমস

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহ। তিতাস এমডি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু এলাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার সমাধান হয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’ 
দেশ রূপান্তর

এর আগে সোমবার (২৪ এপ্রিল) এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডা, মগবাজার, রামপুরার মোল্লাবাড়ি, রামপুরা বাজার ও তালতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  এর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে এলাকাবাসী জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সংকট সমাধানে এক পর্যায়ে চুলা জ্বালানোসহ সব ধরনের আগুন জ্বালানো বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তবে এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমাদের কাছে আসা অভিযোগ আমরা তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তারা সেটা ঠিক করেছে।

সোমবার রাতে তিতাসের বরাত দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘ঈদে শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ।’

পোস্টে যেকোনো প্রয়োজনে তিতাস গ্যাসের হটলাইন নম্বর ১৬৪৯৬-এ ফোন করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার রাত ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ঢাকাটাইমস

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার খবরে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এইচএ