মাজহার মিচেল: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এ চিত্র পাওয়া যায়। ঈদে নতুন কাপড়ের সঙ্গে নতুন টুপি, আতর, জায়নামাজ, তসবিহর দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, বিক্রি গতবারের চেয়ে কমেছে।
এদিকে আমদানি ব্যয় বাড়ায় প্রভাব পড়েছে সুগন্ধির দামে। জায়নামাজের বাজারে চীন ও তুরস্কের আধিপত্য। এলসি বিড়ম্বনা ও ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়ায় আমদানিকৃত এসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, মজুরি খরচের পাশাপাশি বেড়েছে সুতার দামও। ডলারের দাম বাড়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত টুপির দামও বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, জিপিও সংলগ্ন ফুটপাত, গুলিস্তান, নিউমার্কেট, চকবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দারুণ জমে উঠেছে আতর, টুপি ও জায়নামাজের বেচাকেনা।
কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, কাজ ও মানভেদে দেশি টুপির দাম পড়বে ৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। তবে একটু বেশি ভালো মানের টুপির দাম পড়বে ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া পেশোয়ারি, সোলেমানি, রুমি, ওমানি, মিসরীয়, মুম্বাই, আফগান, পাকিস্তানি টুপি পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানগুলোতে। এরমধ্যে চীনা টুপি ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাকিস্তানি টুপি ১৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ভারতীয় টুপি ৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর মধ্যে চীনের ওয়ানি ৬৫০ টাকায়, ভারতের গুজরাটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, সিডনি ৪০০ টাকা, পাঠান ৪৫০ টাকা এবং ছোট পুতির সঙ্গে সোনালি কাজ করা প্রতিটি টুপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া নেটের তৈরি চীনা টুপি ১৫০ টাকা ও তুর্কির টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা।
এমএম/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :