মাসুদ আলম: আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরইমধ্যে ফাঁকা হয়ে গেছে ব্যস্ততম নগরী ঢাকা। সড়কে আগের মতো নেই সেই চিরচেনা যানজট। সড়কে যানবাহনও কম। অনেক সিগন্যালে নেই পুলিশ, যেখানে আছে সেখানে বসে সময় পার করছেন।
তবে রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি। এছাড়া মার্কেটগুলোর সামনে যানবাহনের চাপও বেশি।
এদিকে ফাঁকা রাজধানীতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা, খিলক্ষেত, ভাটারা, গুলশান, রামপুরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল খুবই কম ছিলো। তবে মার্কেট গুলোর সামনে ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। সেইসব এলাকায় কিছুটা যানজটও তৈরি হয়। কাউন্টারগুলোর সামনে যানজট দেখা যায়। কোনো কোনো গাড়ি সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছর ঈদে এক বা দুইদিন আগে রাস্তা ফাঁকা হলেও এবার চারদিন আগেই ফাঁকা হয়ে গেছে। ফাঁকা সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা, অ্যাপস ভিত্তিক মোটরসাইকেল ও সিএনজি।
ভাটারা খিলবাড়িরটেকের বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, সকালে শাহজাদপুর থেকে পল্টনে যেতে তেমন ভোগান্তি পুহাতে হয়নি। সড়ক আগের মতো যানজট নেই। গাড়ির চাপও নেই। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন।
ট্রাফিকের মোহাম্মদপুর জোনের টিআই নুরে আলম বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ কম। তবে বিকেলে চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। মানুষ শপিং করতে বের হবে। এছাড়া বুধবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। তবে বৃহস্পতিবার গার্মেন্টস গুলো ছুটি হবে। তখন হয়তো সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। তবে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই।
এমএ/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :