মাসুদ আলম: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজধানীর বঙ্গবাজার ভস্মীভূত হওয়ার এক সপ্তাহ পর ব্যবসায়ীদের জন্য চৌকি পেতে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু এখনো বেচাকেনা জমে উঠেনি। ক্রেতাও কম। ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। এছাড়া ব্যসায়ীদের একটা অংশ অর্ধেক জায়গায় চৌকিতে ব্যবসা শুরু করলেও, বাকি অর্ধেক চৌকি ফাঁকা পড়ে আছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচন্ড রোদে মাথার ওপর ছাতা দিয়ে মালামাল নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। শামিয়ানা টাঙানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। কিন্তু দোকান গুলোতে ক্রেতা নেই। বঙ্গবাজারে আগের মতো সেই হাঁকডাকও নেই। সন্ধ্যার পর কিছু ক্রেতা আসেন। তবে তারা কেনার চেয়ে দামাদামিই বেশ করেন। এছাড়া অস্থায়ী দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত মালামালও নেই। টাকার অভাবে অনেক ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে বসতে পারেনি। কেউ কেউ আবার ফ্লাইওভার বা এনেক্স টাওয়ারের ছায়াযুক্ত স্থানে বসেছেন অস্থায়ীভাবে।
ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, বেচাকেনা একদমই নেই। দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। কয়েকদিন পর ঈদ কিভাবে কর্মচারিদের বেতন দিবো। নিজেরাই কিভাবে ঈদ করবো।
ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বলেন, প্রচণ্ড রোদ আর ক্রেতা সংকটে অস্থায়ীভাবে বসানো এসব দোকানের প্রায় অর্ধেক চৌকি ফাঁকা পড়ে আছে। অনেকে আবার গ্রামে চলে গেছেন। ঈদের পর স্থায়ীভাবে বসানো হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তখন হয়তো আবারও বিক্রি জমে উঠবে।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত মালামাল না থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেনি। আবার কিছু ব্যবসায়ী মালপত্রের সংকটের কারণে বসতে পারেননি। জায়গা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নামে বরাদ্দ হয়েছে, সেহেতু চৌকি পেতে ব্যবসা করতে কোনো বাধা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :