মাসুদ আলম: ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর দোকান খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে ধোঁয়ামোছা ও কাপড় প্রদর্শনে ব্যস্ত। মার্কেটে ক্রেতাও একেবারে কম।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দোকান ধোঁয়ামোছা ও কাপড় প্রদর্শনে ব্যস্ত ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছে নিউ সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি। আর সার্ভিসের এই কমিটিকে তদন্তকাজের জন্য ৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।
এদিকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ওয়াহিদুল ইসলামকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের এই কমিটিকে তদন্তকাজের জন্য ৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেনারেটর চালিয়ে একটি ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মালিক সমিতি। তারা ছোট পরিসরে দোকান খুলে ব্যবসা চালু করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি আগুনে পোড়া দোকানগুলো থেকে পোড়া কাপড় ও আসবাব সরিয়ে আনা হচ্ছে। দোকান খুলেছি মনের সান্ত্বনার জন্য। ঈদের এই মৌসুমে আর আমাদের মার্কেটে বেচাকেনা হবে না। ক্রেতাও নেই।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, আর কয়েকদিন পর ঈদ। কিভাবে কর্মচারিদের বেতন দিবো। আমরাই কিভাবে পরিবার নিয়ে ঈদ করবো। ঈদের এই সময়ে প্রতিদিন দোকানভেদে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বেচা কেনা হতো। এই ক্ষতি কাটিয়ে দাঁড়াতে কতদিন লাগবে আল্লাহই ভাল জানেন।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জুয়েল রানা বলেন, আগুনে তার দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব তিনি। নতুন করে দোকানে মালামাল তোলার মতো টাকা নেই। সামনে ঈদ কিভাবে কর্মচারিদের বেতন দিবো?।
গুড লাইফ নামের কাপড়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ কলিম বলেন, চার বছর ধরে এই মার্কেটে ব্যবসা করছি। গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। পরের বছর ঢাকা কলেজের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবসা হয়নি। আর এ বছর আগুনে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। কিভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকবো।
দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মারুফ হোসেন বলেন, সোমবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। তারা তালিকা তৈরির জন্য কাজ করছেন। যেসব দোকান আগুনে পুড়েনি, তারা দোকান খুলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :