শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৩, ০৫:১৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দোকান খুলেছেন নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা, ক্রেতা কম 

মাসুদ আলম: ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর দোকান খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে ধোঁয়ামোছা ও কাপড় প্রদর্শনে ব্যস্ত। মার্কেটে ক্রেতাও একেবারে কম। 

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দোকান ধোঁয়ামোছা ও কাপড় প্রদর্শনে ব্যস্ত ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছে নিউ সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি। আর সার্ভিসের এই কমিটিকে তদন্তকাজের জন্য ৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।

এদিকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ওয়াহিদুল ইসলামকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের এই কমিটিকে তদন্তকাজের জন্য ৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেনারেটর চালিয়ে একটি ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মালিক সমিতি। তারা ছোট পরিসরে দোকান খুলে ব্যবসা চালু করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি আগুনে পোড়া দোকানগুলো থেকে পোড়া কাপড় ও আসবাব সরিয়ে আনা হচ্ছে। দোকান খুলেছি মনের সান্ত্বনার জন্য। ঈদের এই মৌসুমে আর আমাদের মার্কেটে বেচাকেনা হবে না। ক্রেতাও নেই। 

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, আর কয়েকদিন পর ঈদ। কিভাবে কর্মচারিদের বেতন দিবো। আমরাই কিভাবে পরিবার নিয়ে ঈদ করবো। ঈদের এই সময়ে প্রতিদিন দোকানভেদে ৮০ হাজার  থেকে ১ লাখ টাকা বেচা কেনা হতো। এই ক্ষতি কাটিয়ে দাঁড়াতে কতদিন লাগবে আল্লাহই ভাল জানেন। 
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জুয়েল রানা বলেন, আগুনে তার দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব তিনি। নতুন করে দোকানে মালামাল তোলার মতো টাকা নেই। সামনে ঈদ কিভাবে  কর্মচারিদের বেতন দিবো?।  

গুড লাইফ নামের কাপড়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ কলিম বলেন, চার বছর ধরে এই মার্কেটে ব্যবসা করছি। গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। পরের বছর ঢাকা কলেজের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবসা হয়নি। আর এ বছর আগুনে সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। কিভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকবো। 
 
দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মারুফ হোসেন বলেন, সোমবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। তারা তালিকা তৈরির জন্য কাজ করছেন। যেসব দোকান আগুনে পুড়েনি, তারা দোকান খুলেছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়