মোস্তাফিজুর রহমান: রাজধানীর আরামবাগে শারমিন (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী হৃদয় পুলিশকে জানিয়েছে শারমিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃতার বাবা জাকির হোসেনের দাবি, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্বজনরাসহ রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে রাত বারোটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন মৃতদেহ টি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মতিঝিল থানাকে অবগত করা হয়েছে।
মৃতার বাবা আরও জানান, প্রায় তিন বছর আগে তাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মতিঝিল আরামবাগ বালুর মাঠের পাশে স্বামীর সাথে থাকে। তাদের আয়ান নামে আড়াই বছরের এক ছেলে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি রিকশা চালাই মুগদা মান্ডা থাকি। দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে সে দ্বিতীয়। গতকাল (শনিবার) আমি তাদের বাড়ি যাই। তাদের মার্কেটিংয়ের জন্য টাকা দিয়ে আসি। রোববার বেলা এগারো টার দিকে মেয়ে নাতি কে নিয়ে আমার বাসায় আসে।
সে আসার কিছু সময়ের পর থেকে জামাই ফোনের পর ফোন শুরু করে যাওয়ার জন্য। পরে জহুরের নামাজের পর সে চলে যায়। রাতে সংবাদ পাই মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। বিষয়টা মেনে নেয়া যায় না। এর আগেও আমার মেয়েকে বেশ কয়েক বার নির্যাতন করেছে। মেয়ে আমার কাছে প্রথমে বলেনি। বলেছিল, সে পড়ে গেছে। পরে জানতে পারি তার স্বামী তাকে মারধর করেছে। সে সব কিছুই সহ্য করত। এছাড়াও বেশ কিছু দিন যাবত ৫০ হাজার টাকা দাবি করতো মেয়ের কাছে।
আমি জানিয়েছে সে যদি বাড়িতে ঘড় তোলে, সে সময় যে ভাবেই হোক টাকা টা ব্যবস্থা করে দিব।
হৃদয় মতিঝিলে একটি কসমেটিক কোম্পানিতে চাকরি করে। মৃতার বাবার অভিযোগ মেয়ে যে বাসায় থাকতো, সেখানে জামাইয়ের ফুফু, ফুপাত বোন, ভাই থাকে।
তারাও বিভিন্ন ভাবে মানুষিক নিযার্তন করতো। তার মৃত্যুর পেছনে শুধু তার স্বামী একা দায়ী নয়।
এর সাথে ফুপাত ভাই'রা ও জড়িত রয়েছে। হৃদয়ের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। আমাদের বাড়ি বরগুনা জেলায়।
প্রতিনিধি/ এসএ
আপনার মতামত লিখুন :