সুজিৎ নন্দী: ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এই পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দিবো। আমরা গতকাল করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে করপোরেশন নিজস্ব অর্থ হতে দুই কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিবো।

তিনি বলেন, রোববারে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিরসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছিলাম। আমাদের মূল লক্ষ্য, ঈদের আগে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ আরম্ভ করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার মেট্রিক্স টন বর্জ্য আমরা পরিষ্কার করে। 

মেয়র বলেন, রাতের  মধ্যে আমরা  ইট বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা স্থির করেছিলাম, লক্ষ্যমাত্রা করেছিলাম যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যেন আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসা আবার ফিরে আসতে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আজ বুধবার থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।

বুধবার দুপুরে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজনে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন। বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল হতে ২ কোটি অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । 

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 

তিরি বলেন, এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসন-০৫ এর কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী এবং ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট ও ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সবশেষে মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের পূর্ণাঙ্গরূপে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মার্কেটগুলোর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঈদের পরে বৈঠক করবেন হবে জানান।