ডেস্ক রিপোর্ট: [২] বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়া সব মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। 

[৩] বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ২৩ মে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে মূলত সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তই জানানো হয়। 

[৪] ফখরুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে বলা হয়- আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য হত্যার হুমকির শামিল। অনির্বাচিত সরকারের সরকার প্রধান হিসাবে এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপদ জনক এই কারণে যে, নির্বাহী বিভাগের প্রধান যখন পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের পর্যায়ে পড়ে। 

[৫] তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের একমাত্র নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ড. ইউনুসকেও একই ধরনের হুমকি দেন শেখ হাসিনা। এ ধরণের হুমকি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। বৈঠক এই উক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

[৬] মির্জা ফখরুল বলেন, সিলেটের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর সিলেট জেলার বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন সমূহের সকল নেতা-কর্মীদের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।  

[৭] বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : যুগান্তর