শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০২৩, ০১:২৫ দুপুর
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০২৩, ০৪:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর দূষণ রোধে বিদ্যানন্দের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ   

অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহে ‘রিকশা বিন’ কর্মসূচী 

অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহে ‘রিকশা বিন’ কর্মসূচী 

জাফর খান: সংস্থাটির হেড অব কমিউনিকেশন সালমান খান ইয়াসিন আমাদের সময় ডট কম কে বুধবার (০১ মার্চ) সকালে জানান, আপাতত রাজধানীর মিরপুর এলাকার মধ্যে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে সার্বিক সহায়তা পেলে কর্মসূচীটি পুরো রাজধানী জুড়ে চালুর জোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রিকশার পেছনে স্থাপন করা হয়েছে এ  বিনটি।

মূলত পরিবেশের দূষণ রক্ষায় এই অভিনব পন্থা এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে বলেও জানান ইয়াসিন। এ কাজে রিকশাচালকরা সার্বিক সহযোগিতা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে একটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পটির বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছি। এটি জনসাধারণের মধ্যেও আলোড়ন তৈরি করেছে। 

তিনি আরও বলেন, ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ হতে ইতিবাচক সহযোগিতাও পাচ্ছি আমরা। আপাতত ২০০ রিকশার মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করেছি। এটির নিয়ন্ত্রণে আরও সক্ষমতা অর্জন ও পরিপূর্ণভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পরবর্তীতে পুরো রাজধানী এ কর্মসূচীর আওতায় আসার পর দেশজুড়ে এটি  সম্প্রসারণে কাজ করবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। 

ইয়াসিন বলেন, নান্দনিকতাকে মাথায় রেখে রিকশা বিনটি ডিজাইন করা হয়। যাত্রী হিসেবে থাকা লোকজনের ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট ও অন্যান্য অপচনশীল প্লাষ্টিক যত্রতত্র জায়গায় না ফেলে রিকশার পেছনে সংরক্ষিত এ বিনে ফেলতে কিভাবে সবাইকে সচেতন করতে হবে সে বিষয়টিও তাদের বুঝানো হয়েছে বলে আমাদের সময় ডট কমকে বলেন ইয়াসিন। 

সকল রিকশাকে এ কর্মসূচীর আওতায় আনার পরকিলপনাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানের বলে জানান হেড অব কমিউনিকেশনস। এটির মাধ্যমে রিকশাচালকদের সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য যারা ক্রয় করেন তাদেরকেও যুক্ত করা হয়েছে। যেন তারা সঠিক দামে এসব বর্জ্য বিক্রি করতে পারেন। যা তাদের জন্য একটি আয়ের উৎস হবে। এ অ্যায় পরিবারসহ একটি উন্নত জীবনযাপনে তাদেরকে সাহায্য করছে। 

ঢাকা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ১৫ হাজার রিসাইকেল বিন স্থাপন করেছে, যার প্রায় ৮০ শতাংশ চুরি হয়ে গেছে কিংবা ভেঙে গেছে উল্লেখ করে সালমান বলেন, ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ রিকশা। ময়লা ফেলার জন্য শহরের সব জায়গায় বিন না থাকলেও রিকশা সর্বত্র রয়েছে। তাই এ রিকশাগুলোতে যদি বিন স্থাপন করা যায় তাহলে যত্রতত্র ময়লা ফেলার সমস্যা সমাধান সম্ভব। এছাড়া এ রিকশা বিনগুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কম, কেননা রিকশাচালকেরাই এর তত্ত্বাবধান করতে পারবেন।

এটির নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ইয়াসিন বলেন, এমন একটি মোবাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যেন বিনটি চুরি না যায়। তিনি আশা করেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ চালু হলে একসময় ঢাকা প্লাস্টিকের বর্জ্য হতে মুক্ত হয়ে যাবে।

জেকে/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়