শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০১:৩১ দুপুর
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৩:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেউ কথা রাখেনি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজমপুর কাচাবাজার

মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু: নবগঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজমপুর কাচাবাজার থেকে ভাই ভাই মার্কেট পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক অফিস-আদালত এবং স্কুল কলেজে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল ২০ হাজার লোককে দূরর্ভোগ পোহাতে হয়। পানিগুলো ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত। শরীরে লাগার সাথে সাথে বিভিন্ন রকমের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান চায় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ইলোরা পারভীন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তাদের ভাষ্যমতে নতুন ওয়ার্ড বিশাল বাজেটের প্রয়োজন কিন্তু এতো বাজেট আমাদের কাছে নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঢাকা মহানগর উত্তরের মেয়র মহোদয়ের কাছে বিনীত আকুল আবেদন করেন তাদের এই রাস্তাঘাটের সমস্যার সমাধান করার জন্য।

এ এলাকায় রয়েছে হাজীবিল্লাত আলী হাই স্কুল নামে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়।

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকারনাইনের সঙ্গে। ইতোপূর্বেও একই সমস্যার সমাধান কল্পে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অসুস্থতা জনিত কারণে তিনি চেকআপে থাকায় জোন ৭ এর  এক্স এন ও সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এক্স এন ও ফরহাদ সাহেব বলেন, এই সুয়ারেজ প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর প্রজেক্টের আওতাধীন। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এখানে উত্তরে তিনি বলেন এডি স্যার বলতে পারেন।

এলাকাবাসী বলেন, আমাদের সমস্যা সমাধানে কেউ কথা রাখেনি। উত্তরার অনেক সাংবাদিক আছেন তাদের চোখেও আমাদের এ সমস্যা ধরা পড়ে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, বিজয় টিভির স্বপন রানা, বিপুল ভাই, মাই টিভির পুষণ, জুয়েল ভাই বিষয়টি অবগত। এশিয়ান টিভির নয়ন ভাই আসবেন বলে আসেননি। আসলে তারাও আমাদের মানুষ মনে করেন কিনা জানি না। 

বেসরকারি কোম্পানি উত্তরা কেবল নেটওয়ার্কের হেড অফ একাউন্টস মো. আরমান হোসেন বলেন, গাড়ি চলার সময় ময়লাযুক্ত পানিগুলো কাপড়ে এসে পড়লে ময়লা কাপড় নিয়েই আমাদের সারাদিন অফিস করতে হয়। নাপাক পানিগুলো শরীরে এসে পড়ায় সারাদিন নামাজ-কালাম আদায়ে ও আমাদের সমস্যা হয়।

আরআইএম/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়