সুজিৎ নন্দী: ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক বাংলাদেশের কাছ থেকে মানবিক সহায়তা চেয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে মানুষের খাবারের ও ওষুধের অভাব। প্রচন্ড শীতে সেখানে শীতের পোশাক খুব প্রয়োজন। এই কঠিন সময়ে তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমরা ডিএনসিসি থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবো।
তিনি বলেন, আমরা শীতের কাপড়, খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ প্রেরণ করবো। এছাড়াও কাউন্সিলরদের তাদের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহায়তার আহবান করছি। করপোরেশন থেকে দ্রুতই ঢাকার টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিসে পৌছে দেয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে।
মেয়র বলেন, এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের এই কঠিন সময়ে তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া আমাদের মানবিক দায়িত্ব।
রোববার প্রধান কার্যালয় নগরভবনে অনুষ্ঠিত ২য় পরিষদের ২০তম করপোরেশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় শুরুতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের জন্য ডিএনসিসি মেয়র মানবিক সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করলে সকল কাউন্সিলর এতে সমর্থন দেন এবং কাউন্সিলররা নিজেরাও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সৃষ্ট মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে তুরস্ক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে শীতের কাপড়, খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ চেয়েছে। তবে দেশটি নগদ কোনো অর্থসহায়তা নেবে না। ঢাকার টার্কিশ কো–অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে। ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান গত বৃহস্পতিবার তার দপ্তরে সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে: জেনা: জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এসএন/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :