আখিরুজ্জামান সোহান: নতুন বছর উদযাপনে যখন চোখ ধাঁধানো আতশবাজিতে আলোকিত গোটা রাজধানী ঢাকার আকাশ, ঠিক তখনই মাত্রাতিরিক্ত শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে পালিয়ে যাচ্ছে ঢাকার পাখিরা। এমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আতশবাজির তীব্র শব্দ সাথে আলোক ঝলকানির কারণে শত শত পাখি তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
রাতের বেলা বিকট শব্দ শুনে এসব পাখিরা বাসা থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়। এরপর অন্ধকারে বিভিন্ন বাসাবাড়ির জানালায় ও বিদ্যুতের তারে ধাক্কা খেয়ে এসব পাখি মারাও যায়। অতিরিক্ত শব্দে তাদের হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
ভিডিওটি ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। মন্তব্য করতে গিয়ে খলিল মাহমুদ বলেছেন, আহ্! নিরীহ পাখি গুলোকেও এই গভীর রাতে এভাবে বাসা ছাড়তে হচ্ছে, কঠোর আইন করে এই পশ্চিমা সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করা এখন সময়ের দাবি।
ফরিদ আহমেদ সাগর নামের আরেক মন্তব্যকারী বলেছেন, বিবেকবর্জিত মানুষের ঘিরে অসহায়ত্ব প্রাণী। মাহমুদুল হক মাসুম বলেছেন, এখন বাংলাদেশের আইন কোথায়? আর কিছুই বলার নেই।
ইংরেজি নববর্ষ ঘিরে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি না থাকলেও ঢাকার প্রায় সব এলাকায় দেখা গেছে ফানুস আর আতশবাজি পোড়ানোর মহোৎসব।
গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফাটানোর কারণে পাখি মারা যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। পরিবেশবাদীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আসেনি, যার কারণে বলি হতে হচ্ছে হাজার হাজার পশুপাখি।
নেটিজেনদের দাবি, নিজেদের মধ্যে সচেতনতাবোধ না আনলে সামনে আরও ভয়ংকর দিন অপেক্ষা করছে মানবজাতির জন্য।
এমএএস
আপনার মতামত লিখুন :